পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০০৯

এসোনা তুমি

একটা হৃদয় আছে;
অবিশ্রাম দুঃখ-তরঙ্গাভিঘাতে ক্ষত-বিক্ষত
একটা হৃদয়।
শোক তরঙ্গাঘাতে দুমরে মুচড়ে অসহায়ের
মতো সাগর তীরের বালিরাশির
উপর গড়াগড়ি যায়।
দুর্বহ দুঃখাভারে পুরনো ডাস্টবিনে
পতিত হয়, আবর্জনা স্তুপের
নিচে, আরও নিচে স্হান পায় সে।
মাথা তুলে, দিঠি মেলে কখনো
দেখার সুযোগ হয়না পূর্ণিমার
রূপালী শশধর।
কেবল গায়ে মাখা
দুর্গন্ধ বহন করতে হয়, অনাগত
ভবিষ্যতের অনিশ্চিৎ মুহুর্ত পর্যন্ত।

দুঃখ, শোক, হতাশা
সবাই আজ বাসা বেধেছে এই ছোট্র
হৃদয়গহিনে।
কিন্তু কখন হবে শেষ
এই দুঃসহ জ্বালা?

তুমিহীন হৃদয়ের আহাজারিতে
যখন কঠিন গ্রানাইট ভেঙ্গে
চৌচির হয়, তপ্ত মরুর বালিখালে
যখন রক্তস্রোত বইতে থাকে,
তখনও কি হবেনা শেষ এই কষ্টের
পালা?

তোমার অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে
যখন শত পূর্ণিমা গত হয়,
অবশেষে লজ্জিত চন্দ্র যখন অমাবস্যায়
গা ঢাকা দেয়, তখনও কি
হবেনা শেষ এই কষ্টের পালা?

তোমার আসার পথ পানে চেয়ে
থেকে থেকে যখন
চোখ অবসর গ্রহন করে,
দিগন্ত ঝাপসা হয়ে আসে,
অবশেষে কোন কিছুই
চোখের পর্দায় ধরা পড়ে না-
তখনও কি হবেনা শেষ
এই কষ্টের পালা?

চোখের অশ্রুতে বুক ভেসে যায়;
অবশেষে প্রশান্ত মহাসাগরের
চেয়ে বড়, আরও বড় আর গভীর
মহাসমুদ্রে পরিনত হয়-
তখনও কি হবে না শেষ এই
কষ্টের পালা?

হৃদয়ে তোমার ছবি আঁকতে আঁকতে
কলমের ডগা ফেটে যখন
ফিনকি দিয়ে রক্ত ছোটে,
সবকিছু রক্তে রক্তে একাকার
হয়ে যায়-
তখনও কি
হবেনা শেষ এই কষ্টের পালা?

দুর্মর কষ্টাঘাতে হৃদয়ের
বুকফাটা কান্নায় যখন
ফুজিয়ামা, ভিসুভিয়াস ফেটে
তপ্ত অগ্নিদগিরণ করতে থাকে-
তখনও কি হবেনা
শেষ এই
কষ্টের দুঃসহ পালা?

হে! আমার মানসলোকের
রাজকন্যা, তুমি কখনো
এসোনা।
এভাবেই থেকো চিরদিন,
তোমাকে রেখেছি যেভাবে,
এঁকেছি যেভাবে
আমার অন্তর্লোকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন